আজ || সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম :
 

বিনোদ বিহারী সাধু মহোদয়ের শুভ ১৩৩ তম জন্ম জয়ন্তী সফল করতে


স্ব-পরিবারে কপিলমুনিতে আসছেন রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর পৌত্র গৌতম সাধু

নিজস্ব প্রতিবেদক::

আধুনিক কপিলমুনির রূপকার দানবীর রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু মহোদয়ের শুভ ১৩৩ তম জন্ম জয়ন্তীতে ভারত থেকে বিনোদ বিহারী সাধু মহোদয়ের পৌত্র গৌতম সাধু স্ব-পরিবারে যোগদান করতে আগামী ৬ই মে (শুক্রবার) কমিলমুনি আসছেন।

 

কপিলমুনির অন্যতম সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠন বিনোদ স্মৃতি সংসদ কর্তৃক অফিসিয়াল নিমন্ত্রণ পত্রের মাধ্যমে গৌতম সাধু মহোদয়কে স্ব-পরিবারে বিনোদ জয়ন্তী ২০২২ এ যোগদানের অনুরোধ জানান। বিনোদ স্মৃতি সংসদের অনুরোধে স্ব-পরিবারে উক্ত অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য আগামী ৬ই মে (শুক্রবার) ভোমরা স্থল বন্দর হয়ে কপিলমুনি আসবেন বলে জানা গেছে।

বিনোদ স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এ্যাড. দিপঙ্কর কুমার সাহা জানান, তার সংগঠনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু মহোদয়ের স্মৃতিকে অম্লান রাখতে তারা সবসময় সচেষ্ট। বহুদিন ধরেই রায় সাহেবের প্রকৃত বংশধরদের দেখার ও জানার যে তাড়না এ অঞ্চলের মানুষের ছিল, তা এবার সফল হতে চলেছে। আমরা বিনোদ স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে ভোমরা স্থল বন্দরে তাদের সাদর অভ্যর্থনা জানাতে একটি মোটর শোভাযাত্রার আয়োজন করেছি। এছাড়া আগামী ১০মে কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির প্রাঙ্গনে ১৩৩ পাউন্ড ওজনের কেক কাটার মধ্য দিয়ে বিনোদ জয়ন্তী-২০২২ পালন ও আমন্ত্রিত অতিথিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত শোভাযাত্রা ও বিনোদ জয়ন্তী-২০২২ সফল করতে কয়রা, পাইকগাছা ও তালা উপজেলাবাসী সহ সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

 

 

তিনি আরও বলেন, বিনোদ বিহারী সাধু মহোদয় ছিলেন বিশ্বের প্রথম জামানত বিহীন ঋণের প্রবক্তা। বিনোদ বিহারী সাধু শুধু কপিলমুনি নয় বরং সমগ্র উপমহাদেশের ইতিহাসে একটি উজ্জ্বলতম নাম। এ অঞ্চলের মানুষের দুর্দশা লাঘবে ও কপিলমুনিকে একটি শক্তিশালী জনপদে রুপান্তরিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিজের উপার্জিত অর্থে একে একে গড়ে তোলেন কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির, কর্মমূখী শিক্ষা প্রসারে স্থাপন করেন অমৃতময়ী টেকনিক্যাল স্কুল, পরিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য খনন করেন সহচরী সরোবর, কয়রা, আশাশুনি, পাইকগাছা, তালা ও ডুমুরিয়া দক্ষিন জনপদের এই বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে আধুনিক চিকিৎসা সেবার সুযোগ দানের জন্য স্থাপন করেন ২০ শয্যা বিশিষ্ট ভরত চন্দ্র হাসপাতাল, যাদব চন্দ্র চ্যারিটেবল ডিসপেন্সরি, মহাপবিত্র বেদ মন্দির, সংস্কার করেন কপিলেশ্বরী কালী মন্দির সর্বোপরি মানুষের মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার মূল উৎস্য এতদাঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন বিনোদ গঞ্জ বাজার।

 

উক্ত বাজারের ব্যবসায়ীদের সুষ্ঠভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন জামানত বিহীন সিদ্ধেশ্বরী ব্যাংক। বাজারের মুসলিম জনগণের প্রার্থনার জন্য ১ টাকার বিনিময়ে মসজিদ নির্মাণের জন্য মসজিদ কমিটিকে প্রয়োজনীয় জমি হস্তান্তর করেন। রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু বিনোদ গঞ্জ স্থাপন করে তৎকালীন সিদ্ধেশ্বরী ব্যাংক ভবনের সামনে প্রস্তর খন্ডে লিখে গেছেন- “ভাবী বংশধর কভু না পাইবে ইহার ভবিষ্য আয়, ব্যয়িত হইবে পল্লী মঙ্গলের তরে, প্রতিবেশী সদা থাকিবেক সুখে, যদি ইহার উন্নতি কামনা করে অহরহঃ” ।


Top