আজ || বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
শিরোনাম :
  তালায় খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ       তালায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মাঝে হাঁসের বাচ্চা বিতরণ       তালায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে প্রতিযোগিতা       তালায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের উদ্বোধন       তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারের সমর্থনে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত       তালায় অসুস্থ বন্ধুর জন্য ৩০ হাজার টাকা দিলেন বন্ধুরা       তালায় তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলার সমাপনী       সাতক্ষীরায় বৈদ্যুতিক খুটিতে ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত       তালায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ক অবহিতকরণ সভা       তালায় আরএমটিপি প্রকল্পের বাজার সংযোগ সভা অনুষ্ঠিত    
 


সুন্দরবনের অকাষ্ঠল বনজসম্পদ নিয়ে খুবি উপাচার্যের গবেষণা গ্রন্থ

খুলনা প্রতিনিধি:

বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ খ্যাতনামা প্রকাশনা সংস্থা ‘স্প্রিঙ্গার’ থেকে ‘নন-উড ফরেস্ট প্রোডাক্টস অব এশিয়া নলেজ, কনজারভেশন, লিভলিহুড’ শিরোনামে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন সম্পাদিত একটি যৌথ গবেষণা গ্রন্থ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। এ গ্রন্থের অন্য দু’জন সম্পাদক হলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ জেড এম মঞ্জুর রশিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।

প্রকাশিত বইটিতে এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ  ‘নন-উড ফরেস্ট প্রোডাক্টস’ এর ব্যপ্তি, ব্যবহার, গুরুত্ব, সংরক্ষণের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এই গবেষণা-গ্রন্থটির পৃষ্ঠা সংখ্যা ২৬৮, চ্যাপ্টার রয়েছে ১১টি, যেখানে এশিয়ার অকাষ্ঠল বিভিন্ন প্রকার বনজ সম্পদের তথ্য, উৎপন্ন বিভিন্ন দ্রব্যাদি ও তার ব্যবহার, নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী, অর্থনৈতিক গুরুত্ব, কর্মসংস্থান, প্রকৃতি সংরক্ষণে ভূমিকা, আবহাওয়া ও জলবায়ুর ওপর তার প্রভাবসহ বিভিন্ন ঝুঁকি নিরূপণ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণামূলক তথ্য-উপাত্ত রয়েছে।

গ্রন্থটির চ্যাপ্টার-৫ এ ‘নন-উড ফরেস্ট প্রডাক্টস অব দ্য সুন্দরবনস, বাংলাদেশ: দ্য কনটেক্সট অব ম্যানেজমেন্ট, কনজারভেশন এন্ড লিভলিহুড’ শিরোনামে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন এর গবেষণা নিবন্ধ স্থান পেয়েছে। এই চ্যাপ্টারে মূলত সুন্দরবনের অকাষ্ঠল উদ্ভিদ শ্রেণি ও তা থেকে আহরিত বনজ দ্রব্যাদি ছাড়াও এর নানা দিকে আলোকপাত করা হয়েছে।

সুন্দরবন থেকে আহরিত গোলপাতা, শন, লতা-গুল্ম, মধু, মম জাতীয় দ্রব্যাদির ১৯৯১-৯২ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত তথ্য-উপাত্ত লেখচিত্র সহকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে শুটকি মাছ আহরণের ২০০১-০২ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তথ্য। একইভাবে রয়েছে চিংড়ি-কাঁকড়া, শামুক জাতীয় সম্পদের আহরণের পরিসংখ্যান। তুলনামূলক আলোচনায় উঠে এসেছে এসব দ্রব্যাদির আর্থ-সামাজিক গুরুত্ব এবং সময়ের সাথে, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে উৎপাদনের প্রভাব। সুন্দরবন থেকে রাজস্ব আয়ের একটি চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে।

সুন্দরবনের ঔষধিবৃক্ষ, লতা-গুল্মের গুরুত্ব স্থান পেয়েছে। কেবল বনজ দ্রব্যাদি নয়, তা আহরণে ব্যবহৃত সামগ্রী, ব্যবস্থাপনা, সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর তথ্য ও উপাত্তও তুলে ধরা হয়েছে এ গ্রন্থটিতে। প্রাসঙ্গিকভাবে সুন্দরবনের প্রাণি ও প্রজাতিভিত্তিক উদ্ভিদের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
সুন্দরবন থেকে মাত্রাতিরিক্ত সম্পদ আহরণের নেতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সুন্দরবনের ওপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের থাবা, লবণাক্ততা বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো নিয়েও গবেষণাধর্মী তথ্য-উপাত্ত সন্নিবেশ করা হয়েছে।

একই সাথে মাত্রাতিরিক্ত সম্পদ আহরণে জীববৈচিত্রের ওপর ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সুন্দরবনের নানাদিকে আলোকপাত শেষে এ চ্যাপ্টারে গবেষক নিবন্ধের সমাপনী টেনে কিছু সুপারিশও করেছেন। একাডেমিক ক্ষেত্রে এবং গবেষক-পাঠকের জন্য গ্রন্থটি তথ্যসমৃদ্ধ ও উচ্চমানসম্পন্ন। এটি রেফারেন্স বুক হিসেবে, অধিকতর বহুমুখী গবেষণার ক্ষেত্রে গবেষক ও তথ্যানুসন্ধানীদের প্রভূত উপাকারে আসবে বলে গ্রন্থটির মুখবন্ধে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।


Top