আজ || মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম :
  তালায় বিশ্ব মা দিবসে স্বপ্নজয়ী মায়েদের সম্মাননা       সাতক্ষীরায় দৈনিক আমার সংবাদের প্রতিনিধিদের মতবিনিময়       তালায় কাপ পিরিচ প্রতীকের শোভাযাত্রা       তালার মাগুরা কাপপিরিচ প্রতীকের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন       ধানদিয়ায় কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলুর গণসংযোগ       খেশরায় কাপ পিরিচে ভোট চেয়ে ঘোষ সনৎ কুমারের গণসংযোগ       খলিলনগরে কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলুর গণসংযোগ       তালার খলিষখালীতে কাপপিরিচ প্রতীকের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন       জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস ভিত্তিক অবহিতকরণ সভা       তালায় কাপ পিরিচ প্রতীকের শোডাউন    
 


সাতক্ষীরায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পৈত্রিক সম্পত্তিতে ঘর নির্মাণ বন্ধ রাখার দাবিতে এক ভুক্তভোগির সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরায় আদালতরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পৈত্রিক জমি দখল করে সেখানে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কামারালী গ্রামের মৃত বাবরালী গাজীর ছেলে মোঃ এরফান গাজী এই অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কলারোয়া উপজেলার তরুলিয়া মৌজার সাবেক ৫২৮, বি.আর.এস ৬৩৬ নং দাগসহ ৩টি দাগে ৫৭ একর জমি নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতে মিস আপলি ১৮/২১ নং নম্বর মামলা বিচারধীন রয়েছে।

গত ১০ মার্চ উক্ত মামলার ১নং বিবাদী জেলা প্রশাসকসহ ৫ জন বিবাদীদের উপর আদালত নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন। আদালত কর্তৃক ১ নং বিবাদী সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, ২নং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), ৩ নং কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ৪ নং কলারোয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ৫ নং বিবাদী ১২ নং যুগিখালী ইউনিয়ন ভূুমি কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞার নোটিশের কপি যথাযথভাবে ১৫ মার্চ জারি হওয়া সত্বেও আদালতের নির্দেশনা উপক্ষো করে বাড়িঘর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আদালত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া কালতক ওই জমিতে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞার নোটিশ পাওয়ার পরও ৩,৪ ও ৫ নং বিবাদী ঘর গুলোর নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য অধিক সংখ্যাক শ্রমকি নিয়ে রাক-দিন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এরফান গাজী প্রশ্ন রেখে বলেন, কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভুমি) আইনের লোক হয়েও কিভাবে আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পৈত্রিক জমিতে ঘর নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।

পৈক্রিক সূত্রে উক্ত সম্পত্তি প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘ ৮০/৯০ বছর ধরে আমরা ভোগ দখল করে আসছি। কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই নিয়মনীতি না মেনে সহকারি কমিশনার (ভূমি) তড়িঘড়ি করে উক্ত সম্পত্তির গাছগাছালি কেটে সেখানে ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। গাছ কাটার সময় বাধা দিতে গেলে এসিল্যান্ড সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি অভিযোগ এনে ফৌজদারি মামলা দিয়ে জেলের ভাত খাওয়াবেন বলে হুমকি প্রদর্শন করেন। আমরা জমির কাগজপত্র দেখাতে চাইলে তিনি বলেন, “কাগজ দেখার প্রয়োজন নেই, আদালতে গিয়ে দেখান”। উপায় না পেয়ে আমার আদালতে মামলা করি।

তিনি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পৈত্রিক সম্পত্তিতে ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


Top