বিএনপিকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ যে একটা স্বাধীন দেশ সে কথাও তাঁরা ভুলে গেছে। নির্বাচনের আগে বিদেশি শক্তির তাবেদারি করেছে, নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করেছিল। কিন্তু নির্বাচন হয়ে গেছে। সরকার ক্ষমতা দখল করেছে। শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ সংকট উত্তরণ করে ভালোর দিকে যাচ্ছে। সুসময় আসতে সময় লাগে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের এই অন্যতম শীর্ষ নেতা বলেন, ‘এই সরকারের আমলে বিএনপির ৮০ ভাগ নেতা-কর্মী না কি নিগৃহীত হচ্ছে। আমি মির্জা ফখরুলকে বলব, এসব মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকুন।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘এই ৮০ ভাগ নেতা-কর্মীরা কারা? আমির খসরু, মির্জা ফখরুল তো একে একে জেল থেকে বের হয়ে গেছেন। তাহলে নিগৃহীত হচ্ছে কে? তাদের তালিকা প্রকাশ্যে দিতে হবে। মিথ্যাচার অনেক করেছেন। আপনাদের নেগেটিভ রাজনীতি এ দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। এই রাজনীতি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে, কেউই গ্রহণ করবে না। বিএনপি নামের দলটি সংকুচিত হয়ে যাবে।’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সারা বিশ্বে সংকটের প্রতিক্রিয়া আমাদের দেশেও আছে। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্ব আছে বলেই বাংলাদেশের মানুষ মোটামুটি ভালো আছে। তুলনামূলক, অনেক দেশের মানুষের যে কষ্ট আছে সে তুলনায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক ভালো আছি আমরা।’
ইফতার পার্টি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি ইফতার পার্টি করে আর আওয়ামী লীগ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করে। আমাদের নেত্রীর নির্দেশ—ইফতার পার্টি নিজেরা না করে গরিব-সাধারণ মানুষের মাঝে—যারা এই সংকটের মুহূর্তে কষ্টে আছে তাদের মাঝে—ইফতার সামগ্রী বিতরণ করতে হবে। এটাই সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো করে যাচ্ছে।’
বিএনপির সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক আছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ বিএনপি ইফতার পার্টি করে আওয়ামী লীগের নামে চরিত্রহনন, অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। এখন তারা বলে, দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। আসলে বিএনপি পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। বিএনপির চেতনায় পাকিস্তান।’