আজ || শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম :
  তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারের সমর্থনে বিশাল পথসভা অনুষ্ঠিত       তালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ॥ প্রতীক পেয়েই প্রচার শুরু       তালায় খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ       তালায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মাঝে হাঁসের বাচ্চা বিতরণ       তালায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে প্রতিযোগিতা       তালায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের উদ্বোধন       তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারের সমর্থনে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত       তালায় অসুস্থ বন্ধুর জন্য ৩০ হাজার টাকা দিলেন বন্ধুরা       তালায় তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলার সমাপনী       সাতক্ষীরায় বৈদ্যুতিক খুটিতে ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত    
 


শান্তি ও সু-পরিচ্ছন্ন যুব সমাজ গড়তে যুবলীগের সভাপতি হতে চান মহি আলম

সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরার বসবাসরত নেতৃত্বদানকারি ব্যক্তিরা ইতিপূর্বে স্বাধীনতা বিরোধী মতাদর্শের। ওই মতাদর্শকে হটিয়ে স্বাধীনতা পক্ষের আওয়ামীলীগের সমার্থকরা ধীরে ধীরে সক্রিয় হতে থাকে। তখন ভালো মানের ছিল নেতাও। তারা ওই এলাকার মতাদর্শ বিরোধী ব্যক্তিদের কোণঠাসা করে দিনের পর দিন জেলায় আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত করেছে। যার ফলে বিগত সাংসদ নির্বাচনে জেলার ৪টি আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। তবে দলের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে বিগত দিনে যারা এসেছে তাদের অধিকাংশই পরের জমি দখল, খুন-খারাবি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও মাদককারবারের সাথে জড়িত ছিল বলে জনশ্রুতি আছে। এছাড়াও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডও তাদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। তাদের দিয়ে তো আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও মাদার অব হিউম্যানিটি মুজিব কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও আদর্শে আদর্শিত দেশ মাতৃকার কল্যাণকর করা সম্ভব নয়। সেজন্য বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজম্মের তরুণ যুবকদের নিয়ে কিছু করার মানসে জেলায় যুব রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করতে ভূমিদুস্য, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিমুক্ত, শান্তি ও সু-পরিচ্ছন্ন যুব সমাজ গড়তে চান মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান মীর এশরাক আলী (ইসু মিয়া) এর ছেলে যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী মীর মহিতুল আলম (মহি)। তার বড় ভাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের প্রথম নির্বাচিত ভি.পি, বীর মুক্তিযোদ্ধা নেভাল কমান্ডো ০০১, সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, মেজ ভাই যুদ্ধকালীন সময়ে বসিরহাট ধলচিতা ক্যাম্পে প্রশিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মাহমুদ হাসান লাকী ও মেজ চাচা বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা (লেঃ অবঃ) মীর রিয়াছাদ আলী।

তিনি জানান, ১৯৭৩ সালে রথখোলার মাঠে বিশাল নৌকার জনসভায় যোগদানের পূর্বে আমাদের বাড়িতে এসেছিল। তখন খুবই ছোট। আমার বাবার বাম পাশে বসা, তার বাম পাশে ছিলাম। হঠাৎ বঙ্গবন্ধু আমার কপালে চুমু দিয়ে কোলে নিয়ে বসেছিল। সেই সময়ে ডান পাশে বসা ছিল সৈয়দ কামাল বখত সাকি। ওই জনসভাটির সার্বিক ব্যবস্থপনা ও সঞ্চালনায় ছিলেন আমার বড় ভাই মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এরপরে ধীরে ধীরে বড় হয়ে স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। ওই সময় থেকেই ছাত্রলীগের বিভিন্ন মিছিল, মিটিং এ যোগদানের পাশাপাশি ১৯৯২ সালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনী কো-অডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এরপরে বি.বি.এ কোর্সও সম্পন্ন করে জীবন সংগ্রামে জড়িয়ে পড়লেও রাজনীতির মাঠ থেকে পিছুপা হয়নি কখনও। অতঃপর জেলা যুবলীগের সর্বশেষ আহবায়ক কমিটির ২ নং সদস্য হয়ে আমার রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশ। সেই থেকে জেলা যুবলীগকে যুবদের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত করার চেষ্টা চলমান রেখেছি। সাথে সাথে বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপোরেশন নির্বাচনের দিনও সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরসের সাথে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছি। আমার নেতৃত্বে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল, সভাবেশ ও সাতক্ষীরা পৌর এবং সদর উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সার্থক করতে মিছিল করেছিল নেতাকর্মীরা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জম্মদিন উপলক্ষ্যে এতিম শিশুদের মাঝে খাদ্য বিতরণ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উপলক্ষ্যে কেক কাটা ও আলোচনা, ফণী, আম্পান ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় এলাকার পানিবন্দি মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণের ব্যবস্থা, গ্রামের দুঃস্থ মহিলাদের নিয়ে উঠান বৈঠক এর মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নমূলক প্রচার, শিশু দিবস ও শোক দিবস পালনের ব্যবস্থা করেছি। যার জন্য জেলা যুবলীগকে মানুষ মানবিক যুবলীগে বলে আখ্যায়িত করে। এছাড়াও ছাত্র জীবনে জেলা স্কাউটের ট্রুপ লিডরের দায়িত্ব পালন করেছি, ১৯৮২ সালে বিভাগীয় পর্যায়ে রেডক্রিসেন্ট (রেডক্রস) শ্রেষ্ঠ জুনিয়র হিসেবে পুরস্কার লাভ করেছি, ১৯৮৩ সালে জাতীয় পর্যায়ে রেডক্রিসেন্ট (রেডক্রস) শ্রেষ্ঠ প্যারেড কমান্ডার নির্বাচিত হই এবং অভিনয়ে ২য় পুরুস্কার লাভ করেছি, ছোট বেলা থেকে দৌড়, হাইজাম্প, ব্যাডমিন্টন, ফুটবল বিভিন্ন পর্যায়ে পুরুস্কার পেয়েছি। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি অনেক নাটকে অভিনয়ও করেছি। তার মধ্যে প্রথম নাটক ২১ ফেব্রুয়ারি, প্রথম ছবি উল্টোরথ। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে প্রায় ৭০-৮০ টির অধিক টিভি নাটকে অভিনয় করেছি এবং বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার যৌথ প্রযোজনায় ‘শবনম’ নামে একটি ছবির মূল চরিত্রে অভিনয় করেছি, ১৯৯৩ সালে ‘ফ্রেন্ডস স্টার’ নামক আমার একটি অডিও ক্যাসেট প্রকাশিত হয়। যার মৌলিক গানের প্রথম দুইটি কলি ‘‘অবশেষে একদিন যেতে হবে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে-সোনাই জীবনের বীণ বীণ বীণ, অবশেষে একদিন।’’ সেটি তখনকার তারকালোক ম্যাগাজিন এর জরীপে দেশের সেরা আলোচিত ১০টি ক্যাসেটের মধ্যে ৫ম স্থান অধিকার করে।

যুব রাজনীতিতে এমন সাদামনের যুবনেতা মীর মহিতুল আলম (মহি) এর সুনাম চায়ের দোকান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতাদের মুখেও বেশ রয়েছে সুনাম। সময়ের ব্যবধানে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি পরিচিত মুখে পরিণত হয়েছেন তিনি। ইতিপূর্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ভিক্তিতে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামের বিক্ষোভ মিছিল ও মিটিংয়ের প্রথম সারিতে থাকতেন। ওই বিনয়ী, ন¤্র ও ভদ্র যুবনেতা কখনো কারও সাথে খারাপ আচারণ করেনি বলে জনশ্রুতি আছে। যার ফলে সকল ধর্মের মানুষ তাকেও সম্মান করে। এটিই তার যুব রাজনীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

মীর মহিতুল আলম (মহি) জানান, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজম্মের জন্য সন্ত্রাস, মাদক, ভূমিদুস্য ও জঙ্গিমুক্ত যুবলীগ, শান্তিপূর্ণ ও পরিচ্ছন্ন যুব সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখি। যেখানে থাকবে না হিংসা, বিদ্বেষ,বিভেদ, মারামারি, থাকবে না কোন দ্বন্দ্ব, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসাবে এবং বঙ্গবন্ধুর দেশের মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য হয়ে সততা, নিষ্ঠা ও যোগত্যা দিয়ে সাধারণ মানুষ ও যুব সমাজের হাজারোও ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি। ছাত্র জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতি করে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে সাহসী মুজিব সৈনিক হয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাদার অব হিউম্যানিটি মুজিব কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও আদর্শে আদর্শিত হয়ে দেশ মানবতার কল্যাণে কাজ করবো ইনশাল্লাহ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র, সন্তাস ও জঙ্গীমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত এনে দিয়েছেন। সাতক্ষীরার সন্তান হিসেবে আল্লাহর রহমতে মানুষের পাশে থেকে আমৃত্যু মানুষের সেবা করে যেতে চাই এবং ভবিষ্যৎ প্রজম্মের কাছে একটি সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত ও জঙ্গীমুক্ত শান্তিপূর্ণ সমাজ রেখে যেতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজনীতির নিরলস দায়িত্ব পালন করে যাবো ইনশাআল্লাহ।


Top