আজ || রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম :
 


শশু ধর্ষন মামলার আসামীর পক্ষে ফাইনাল রিপোর্ট’র প্রতিবাদে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

শিশু ধর্ষন মামলার আসামীর পক্ষে ফাইনাল রিপোর্ট’র প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোত্তালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আশাশুনি উপজেলার মিত্র তেঁতুলিয়া গ্রামের হরমুজ গাজী স্ত্রী ফিরোজা খাতুন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমরা অসহায় নিরিহ দিন মজুর খেটে খাওয়া মানুষ। আশাশুনি উপজেলার শাহনগর গ্রামের মৃত. শাহ গোলাম ইদ্রিসের পুত্র মিজানুর রহমান মন্টু ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী অস্ত্রবাজ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, গরু চুরি, খুন জখম, সরকারি সম্পত্তি আত্মসাত এবং ২টি ধর্ষনসহ প্রায় তিন ডজন মামলার আসামী। আমার শিশু কন্যা (১০) কে গত ১২/০৯/২০২০ তারিখে কৌশলে ডেকে নিয়ে মিত্র তেঁতুলিয়া গ্রামের মৃত. ইয়াকুব আলীর স্ত্রী আমিরন ওরফে আম্বিয়া খাতুনের ছাগল ঘরের মধ্যে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। আমার ভাগ্নি আমার কন্যাকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুজি করতে থাকে। একপর্যায়ে উক্ত স্থানে গিয়ে আমার কন্যাকে ধর্ষন করা অবস্থায় দেখতে পায়। পরে মন্টু বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য আমার কন্যা এবং ভাগ্নিকে হুমকি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে কন্যার যৌনাঙ্গে ব্যথা অনুভব হলে আমার জা নাজমা খাতুন কে বিষয়টি বলে। আমার ছেলে আরিফ এঘটনা জানতে পেরে ৯৯৯ ফোন করার পর পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে তদন্ত করে সত্যতা পায়। এরপর আমি বাদী হয়ে মন্টুর বিরুদ্ধে আশাশুনি থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করি যার নং- ১১, তাং- ১৪/০৯/২০২০। উক্ত মামলায় থানা পুলিশ প্রায় ১ মাস ২০ দিন পর মন্টুকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে। ধর্ষক মন্টু বর্তমানে কারাগারে আছে। মন্টু কারাগারে থাকলেও তার আপন ভাইয়েরাসহ সস্ত্রাসী বাহিনী উক্ত মামলা তুলে নিতে আমার স্বামীকে, আমাকে, আমার পরিবারের সদস্যদের এবং মামলার স্বাক্ষীদের খুন জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা হুমকি দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বলে মন্টুকে এ মামলা থেকে অব্যহতি পেতে যা যা করার প্রয়োজন করা হবে। মন্টু বাড়িতে এলে তোদের বাঁচতে দেবে না। এদিকে আশাশুনি থানা থেকে ধর্ষন মামলার দায় থেকে মন্টুকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। সন্ত্রাসী মন্টুর পরিবার জামায়াত-বিএনপির পরিবার। চারদলীয় জোট সরকারের সময় মন্টু ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি, তার ভাই সেন্টু ছাত্র দলের ইউনিয়ন সভাপতি,চাচা রফিকুল উপজেলা বিএপির নেতা, তার বাবা জামায়াতী ইসলামী চার দলীয় জোট প্রার্থী রিয়াছাত মাওলানার নির্বাচন পরিচালনার জন্য মাইক কিনে দেয়। ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী তাদের বাড়িতে প্রায় দুই যুগ থাকেন। একই ভিটায় আপন ফুপাতো ভাই দুই ভাই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং যুব দলের সাধারণ সম্পাদক। জোট সরকারের সময় মন্টুর পিতা মৃত শাহ গোলাম ঈদীস ও চাচা মৃত রফিকুল শাহ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কালো টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়। ৭১ সালে তার চাচার বয়স ছিলো ৫ থেকে ৬ বছর । জোট সরকারের সময় আওয়ামীলীগ নেতা আফসার খাঁর ইজাকৃত সরকারি জলমহল মন্টু জাল দলিল সৃষ্টি করে রাতা রাতি দখল করে নেয়। হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা যদুয়ারডাঙ্গা এবং তালবাড়িয়া বিল থেকে দিনের বেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৩ টি গরু নিয়ে কেশবপুর হাটে বিক্রি করে। গরু চুরির মামলা হলেও জোট সরকারের লোকজন চাপ সৃষ্টি করে মামলা তুলে নিতে বাধ্য করে। দানবীর হাজী মহম্মদ মহসীন সৈয়দপুর ট্রাষ্ট এর ৮৫ বিঘা জমি জাল দলিল করে দখলে রেখেছে। সে সময় কাদাকাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কনক চন্দ্র সরকার এবং দরগাহপুর চেয়ারম্যান মিয়ারাজ আলীর ইজারাকৃত ওই জলমহল মন্টু বাহিনী জোর করে দখল করে নেয়। বর্তমানে মোকামখালী, ধাপুয়া খালের প্রায় ২০০ বিঘা সরকারি সম্পত্তি চার দলীয় জোট সরকারের আমল থেকে ইসলামকাটি রেজিস্ট্রি অফিসের জাল দলিল সৃষ্টি করে অবৈধ দখলে রেখেছে। মন্টু বাহিনীর কাছে আমাদের মত অসহায় গরীব মানুষ মশা মাছির সমান। যাদের অর্থ আছে, লোকজন আছে, ক্ষমতা আছে সে সব লোকজন মন্টু বাহিনীর ভয়ে কথা বলার সাহস পায় না। পাশে ২/৪ ইউনিয়নের লোকজনও তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। একটি সত্য ঘটনা কালো টাকার বিনিময়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী মন্টু মিথ্যা বলে অব্যহতি পেলে আমার পরিবারের কাউকে বাঁচতে দেবে না। আমাদের মত গরীব মানুষ কি ন্যায় বিচার পেতে পারে না। আমাদের রক্তে মাংসে আওয়ামীলীগ। জোট সরকারের আমলে তেতঁলিয়া বাজারে মন্টুর জামায়াত-বিএনপির (জোটের) অফিস ছিলো। তেতঁলিয়া বাজারের উপর দিয়ে আওয়ামীলীগের মিছিল যাচ্ছিল। ওই সময় মন্টু তার বাহিনী নিয়ে আওয়ামীলীগের মিছিলে হামলা করে। এসময় অনেকে আহত হয় তবে আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান সম সেলিম এর ভাই ডেভিড মন্টু বাহিনীর হামলায় গুরুত্বর আহত হয়। এবিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

 


Top