আজ || বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
শিরোনাম :
  তালায় খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ       তালায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মাঝে হাঁসের বাচ্চা বিতরণ       তালায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে প্রতিযোগিতা       তালায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের উদ্বোধন       তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারের সমর্থনে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত       তালায় অসুস্থ বন্ধুর জন্য ৩০ হাজার টাকা দিলেন বন্ধুরা       তালায় তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলার সমাপনী       সাতক্ষীরায় বৈদ্যুতিক খুটিতে ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত       তালায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ক অবহিতকরণ সভা       তালায় আরএমটিপি প্রকল্পের বাজার সংযোগ সভা অনুষ্ঠিত    
 


রামসাগরে একদিন…                        

 ভ্রমণ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি মানুষকে নতুনের প্রতি আগ্রহ বাড়ায়। নতুন কিছু জানার, দেখার লালিত স্বপ্ন পূরণ করে। নিজেকে চেনার পথ পরিষ্কার হয়। দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় ঘটে। জ্ঞানপিপাসা মেটে। ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির সাথে জানাশোনা হয়। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন সমূহের মধ্যে দিনাজপুরের রামসাগর অন্যতম। ঐতিহাসিক ভিত্তি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য প্রতিবৎসর অসংখ্য দেশী-বিদেশী পর্যটককে আকর্ষণকরে এ রামসাগর। দিনাজপুর শহর থেকে প্রায় ৮কিঃমিঃ সোজা দক্ষিণে রাস্তার পাশে অবস্থিত রাম সাগরের জলভাগের আয়তন ৭৭ একর, তবে চারিদিকে টিলাকৃতির পাড়সহ আয়তন মোট ১৪৭ একর। ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট বেলে পাথরে বাঁধাই করা দীঘির প্রধান ঘাট সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। রামসাগরের গভীরতা প্রায় ৩০ ফুট। এই সুগভীর দীঘির জল কোনদিনই শুকায় না। দিনাজপুরের বিখ্যাত রাজা রামনাথ আলীবর্দীখানের সময়ে ১৭৫০থেকে ১৭৫৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দীঘিটি খনন করেন। সে সময় খরা জনিত দুর্ভিক্ষ পীড়িত লোকদের কর্মসংস্থান ও পানির প্রয়োজন মেটানোর জন্য রাজা এ দীঘি খনন করেছিলেন বলে জানা যায়। বর্তমানে অসংখ্য গাছপালায় সুসজ্জিত এ দীঘির পানিতে এর প্রতিচ্ছবি ও সুবিশাল জলরাশি মিলে এক নয়নাভিরাম দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে। রামসাগরে প্রতি বৎসর প্রায় পঞ্চাশ হাজারেরও অধিক পর্যটকএর অপূর্ব সৌন্দর্য এবং দৃশ্যউপভোগ করতে আসেন।সরকারের উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে রামসাগরের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য বর্তমানে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা ২০১৯ সালে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাত হানার পরের দিন নেকটার,বগুড়া থেকে ১০ জনের একটি দল যাই রামসাগর দেখতে। দশ জেলার দশ জনের এ ভ্রমণে দিনাজপুরের রামসাগর ছিল প্রথমে। ভোরে আমাদের মাইক্রোবাস পৌঁছায় রামসাগরে। তখনরাতের ঘুম ভাঙেনি, রামসাগরের প্রধান ফটকে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঘুম ভাঙে আমাদের ডাকাডাকিতে। এরপর ভিতরে যাই। সূর্যোদয়ের নয়নাভিরাম দৃশ্য রামসাগরে এত সুন্দর দেখায়,তা বলে বোঝানোর মত নয়। যদিও রামসাগরের সৌন্দর্যের বাইরে এখানে উল্লেখ করার মত কিছু নেই। একটি চিড়িয়াখানা আছে, যেখানে জন্তুসংখ্যা একেবারেই কম। আমাদের টিমের কয়েকজন রামসাগরের স্বচ্ছ পানিতে গোসল করে অপার আনন্দ উদযাপন করে। দিনাজপুরে গেলে রামসাগরে না গেলে ভ্রমণ সফল হবে না। জানা, শোনা ও জ্ঞান লাভের অপার সুযোগের কেন্দ্রবিন্দু ভ্রমণের সাথে থাকি, এই হোক প্রত্যাশা। ( ছবি সংযুক্ত)


Top