আজ || মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম :
  জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস ভিত্তিক অবহিতকরণ সভা       তালায় কাপ পিরিচ প্রতীকের শোডাউন       অভিন্ন চাকুরীবিধি বাস্তবায়নের জন্য সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতি পালন       তালায় বন্ধ রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের কার্যক্রম ॥  সেবা থেকে বঞ্চিত গ্রাহকরা         তালায় ১১৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে অর্থ বিতরণ       বৈষম্যের প্রতিবাদে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতি পালন       কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলুর গণসংযোগ       তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারের সমর্থনে বিশাল পথসভা অনুষ্ঠিত       তালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ॥ প্রতীক পেয়েই প্রচার শুরু       তালায় খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ    
 


মুক্তিযোদ্ধা ছেলে অজয় কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া

নিজস্ব প্রতিনিধি  ::

সমবায় অফিসের কর্মকর্তা অজয় কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত অসত্য সংবাদে তালার আপামর জনগনেরমধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এবং সমবায় নেতৃবৃন্দের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। একটি বিশেষ গোষ্ঠি মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়ে অজয় কুমার ঘোষের ক্লিন ইমেজ নষ্ট করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সমবায়ীনেতৃবৃন্দ ।

প্রকৃত ঘটনা হলো, তালা মৌজায় ৩৫ নং খতিয়ানের ২৭৭ দাগের কিছু জমির মধ্যে সোবাহান শেখের কাছ থেকে ৪ শতক এবং মজ্ঞুয়ারার কাছ থেকে ২ শতক জমি সর্বমোট ৬ শতক জমি ক্রয় করে সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করে জমির চারপাশে পাকা প্রাচির নির্মান করে উক্ত জমি মিউটেশন করিয়ে সরকারী করখাজনা পরিশোধ করে সেখানে বসত ঘর বাথরুম সরকার প্রদত্ত গভীর নলকূপ বসিয়ে বিদ্যুত মিটার নিয়ে শান্তিপূর্ন অবস্থায় আছেন। একটি গোষ্ঠী তাদের রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার মানষে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। উভয় পক্ষ আইনের আশ্রয় নিয়ে আইনগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে তারা সাতক্ষীরা দুইটি আদালতে দায়েরকৃত মামলায় প্রতিপক্ষ পরাজীত হয়েছে। অন্য একটি মামলাটি শুনানির জন্য সাতক্ষীরা সহকারী জজ আদালত-২ তে চলমান। সেখানেও আইনগত লড়াই করে চলেছেন উভয়পক্ষ।

এ ব্যাপারে তালা উপজেলার জাতীয় সমবায় পুরস্কার প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ সমবায়ী দিবস চন্দ্র ঘোষ জানান, অজয় ঘোষ একজন দায়িত্ববান কর্মচারী এবং তিনি কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেন না। আমার জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার ব্যাপারে তার অবদান অনস্বীকার্য।

তালা উপজেলা সমবায় নেতা এবং ইন্দ্রজিৎ দাশ বাপী বলেন, অজয় ঘোষ আমাদের সমবায়ের অহংকার। তিনি সবসময় সমবায়কে নিয়ে ভাবেন এবং কিভাবে সমবায়ীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা যায় সে ব্যাপারে যথেষ্ট ভূমিকা রাখেন।কোন সমবায়ী যে কোন সমস্যা নিয়ে তার কাছে গেলে কেউ খালি হাতে ফেরেন না।

বিশিষ্ট সমবায়ী হাজী রহমত আলী জানান, অজয় ঘোষ হচ্ছে আমাদের গর্ব এবং অহংকার। সদা হাস্যোজ্বল, প্রানবন্ত একজন মানুষ হিসেবে সমবায়ীদের যে কোন সমস্যা সমাধানে তিনি দিনরাত পরিশ্রম করেন।

এ ব্যপারে জেলা সমবায় কর্মকর্তা খোন্দকার মনিরুল ইসলামের কাছে মুঠোফোনে অজয় কুমার ঘোষের সম্বন্ধে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, যে (০১৭৪৪৪৩৫১৯২ তিনি যেটা বলেন সেটা লিখবেন)।

এ ব্যাপারে তালা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, অজয় একজন দক্ষ এবং দায়িত্ববান কর্মী। দুর্নীতির সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই।

তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জননেতা ঘোষ সনৎ কুমার জানান, অজয় কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা এবং বানোয়াট সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় আমি আহত হয়েছি। আমার জানা মতে অজয় উপজেলা প্রশাসনের একজন সম্পদ এবং কিভাবে সমবায়ীদের ভাগ্য উন্নয়ন করা যায় তাই নিয়ে দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করেন।

তিনি আরো জানান, তালা উপজেলা আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৪ সালে ১২ মে। সেই প্রতিষ্ঠাকালীন ৯ জন সদস্যের মধ্যে অজয়ের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল কান্তি ঘোষ একমাত্র জীবিত সদস্য। অজয়ের রক্তের সাথে মিশে আছে আওয়ামী লীগ এবং তার চেতনায় মিশে আছে অসাম্প্রদায়িকতা। আমার জানামতে সে স্বাধীনতার চার স্তম্ভের উপর বিশ্বাস করে। উপজেলা পরিষদ থেকে ১৫ আগষ্ট ২৬ মার্চ ১৬ ডিসেম্বর উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারী হিসাবে কোন না কোন ইভেন্টে তার উপর আমরা দায়িত্ব অর্পন করি এবং সেগুলো সে সুচারুরূপে প্রতিপালন করে থাকে। একটি পত্রিকায় বার বার লেখা হয়েছে অমল ঘোষের পুত্র এটাতে একজন বরেন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অসন্মানিত করা হয়েছে। কেননা সরকার ইতিমধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের পূর্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা পদবীতে ভূষিত করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে স্বীকৃতি সম্বলিত পরিচয় পত্র দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল কান্তি ঘোষের গেজেট নং-১৬৩৬, লালমুক্তিবার্তা নং-৪০৪০৬০১৪৫ এবং কল্যানট্রাষ্ট বা ভারতীয় তালিকা নং-৪৪৬৪৬।

বাড়ীর জমিজমা বিষয়ে ১২ নং খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রভাষক প্রনব ঘোষ বাবলু জানান, অজয় কুমার ঘোষ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে এলাকার উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল ঘোষের পিতা ১৯৬৫ খ্রীঃ মৃত্যুবরন করেন। তিনি মারা যাওয়ার আগে তার সম্পত্তি তিন অংশে বিভক্ত করে দুই অংশ বিক্রয় করে তাঁর মেজ ছেলে দুলাল কান্তি ঘোষ এবং বড় ছেলে মৃত মৃনাল কান্তি ঘোষকে প্রদান করে তাদের ভারতে প্রতিষ্ঠিত করে দেন। আমার জানামতে দুলাল ঘোষের দুই মেয়ের জন্মও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। এ বিষয়ে পূর্বের চেয়ারম্যান তার ওয়ারেশ কায়েম সনদে উল্লেখ করেছেন বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, মৃত নৃপেন্দ্রনাথ ঘোষের বড় পুত্র মৃত মৃনাল কান্তি ঘোষ এবং মেজ পুত্র দুলাল কান্তি ঘোষকে তিনি জীবোদ্দশায় ভারতে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়ে যান। কিন্তু লোকমুখে জানাযায় মেজপুত্র দুলাল কান্তি ঘোষ ভারতের তৎকালীন উগ্রপন্থী সংগঠন নস্কাল এর সাথে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে পুলিশের কাছে ধরা পড়ে। তিনি কোনমতে পালিয়ে বাংলাদেশে তার শ^শুরবাড়ী পাইকগাছা উপজেলায় ওঠেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল কান্তি ঘোষ সেসময় ইউনিয়ন পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। নিজের ভাইকে শ্বশুরবাড়ী মানবতর জীবনযাপন করতে দেখে সন্মান রক্ষার্থে তিনি ভাইকে মানবিক কারনে ঘোষনগর বাড়ীতে আশ্রয় দেন। প্রকৃতপক্ষে মৃত নৃপেন্দ্রনাথ ঘোষ তার তিন ভাগের জমির দুই ভাগ বিক্রয় করলেও একভাগ ছোট ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল কান্তি ঘোষকে কবলা দলিলে রেজিষ্ট্রি করে দেন অন্যান্য শরিকদের সাথে। তাদের সমুদয় সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তির আওতায় পড়ে। উক্ত জমি নিয়ে আমি সহ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার তৎকালীন ইউএনও জনাব মাহবুবুর রহমান একাধীকবার এ জমি নিয়ে সালিষ বৈঠক করি কিন্তু দুলাল ঘোষের মেজ মেয়ে আমাদের প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। পরবর্তীতে বীরমুক্তিযোদ্ধা অমল কান্তি ঘোষ নিজের নামে উক্ত জমিজমা নাম পত্তন করান। নাম পত্তনে দুলাল কান্তি ঘোষ পক্ষভূক্ত বাদী হয়েও যথাপোযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে অসমর্থ হলে আদালত বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল কান্তি ঘোষের নামে তাদের দখল কৃত ১.৭৪ একর জমি নামপত্তন করে দেন। তারা উক্ত নামপত্তনের বিরুদ্ধে ১৫০ ধারায় আপিল করেও হেরে যান। তারপর তারা বীরমুক্তিযোদ্ধা অমল কান্তি ঘোষকে অপদস্ত করতে একের পর এক দুদক ডিএসবি এনএসআই সবজায়গায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। সমস্ত জায়গায় বীরমুক্তিযোদ্ধা অমল কান্তি ঘোষ সঠিক প্রমানীত হয়ে মামলায় জিতে যান।

চেয়ারম্যান প্রনব ঘোষ বাবলু জানান, আমার জানা মতে এরপর তারা এডিসি রেভিনিও বরাবরে আপিল করেছেন যে মামলা এখনো চলমান।

খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদের ০৬ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য প্রকাশ কুমার দালাল জানান, আমার জানা এবং বিশ্বাস মতে অজয় কুমার ঘোষ একজন সৎ এবং পরোপকারী ব্যক্তি। এলাকার কোন লোক তার কাছে সাহায্য চাইতে গেলে কেউ খালি হাতে ফেরে না। উপজেলা পরিষদ এবং উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে এলাকার বহু রাস্তাঘাট নির্মান করা সহ প্রতিবন্ধীভাতা, বিধাবা ভাতা সহ ভিজিডি বহু কাজে তার অজস্র অবদান রয়েছে।

তিনি জানান, অজয় কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মনগড়া প্রতিবেদন সাজানো হয়েছে আমি তার নিন্দা জানাই প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করি এবং এই সাজানো মিথ্যা ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করি।

আজয় কুমার ঘোষ বলেন, সরকারী চাকুরিজীবি হিসাবে সবসময় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী মনে করে জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। কখনো সরকার প্রদত্ত দায়িত্ব অবহেলা করিনি। মানুষের উপকার করা ছোটকাল থেকে আমার নেশা। সরকার আমাকে যে বেতন দেয় তা দিয়ে আমার সংসার ভালভাবে চলে যায়। নিজেকে কখনো দূর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত করিনি। তালা উপজেলায় ৩৪৭ টি প্রাথমিক সমবায় সমিতির সভাপতি এবং সম্পাদকদের সাথে কথা বললেই এবিষয়ে আরও পরিস্কার ধারনা পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল কান্তি ঘোষ জানান, মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় সাতনদী পত্রিকার বিরুদ্ধে আইসিটি এ্যাক্ট এ মামলা করার প্রস্তুতি নেয় হচ্ছে। তাকে অসন্মানীত করার জন্য সরাসরি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে সরাসরি দেখা করে উক্ত পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানান তিনি।


Top