আজ || বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
শিরোনাম :
  তালায় খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ       তালায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মাঝে হাঁসের বাচ্চা বিতরণ       তালায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে প্রতিযোগিতা       তালায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের উদ্বোধন       তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারের সমর্থনে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত       তালায় অসুস্থ বন্ধুর জন্য ৩০ হাজার টাকা দিলেন বন্ধুরা       তালায় তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলার সমাপনী       সাতক্ষীরায় বৈদ্যুতিক খুটিতে ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত       তালায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ক অবহিতকরণ সভা       তালায় আরএমটিপি প্রকল্পের বাজার সংযোগ সভা অনুষ্ঠিত    
 


মামলা তুলে নিতে খুন জখমের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক নারীর সংবাদ সম্মেলন

কলারোয়ার জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক ধর্ষণ চেষ্টার মামলা তুলে নিতে খুন জখমের হুমকির প্রতিবাদ এবং ন্যায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ কলারোয়া উপজেলার মানিকনগর গ্রামের আব্দুর রশিদ গাজীর কন্যা বেবি আক্তার।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমরা ৬ বোনের মধ্যে ২ বোনের বিবাহ হয়েছে। বাকী ৪ বোন বাড়িতে থাকি। আমাদের পিতা দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থান করছিল। আমাদের কোন ভাই না থাকায় এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ক্ষেত্রপাড়া এলাকার মৃত. আজিজ সরদারের (মাস্টার) পুত্র জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান শামছুদ্দীন আল মাছুদ (বাবু) দীর্ঘদিন ধরে আমাকে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু আমি রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান বাবু আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। গত ১৭ জুলাই‘২০ রাত্র ৮টার দিকে সে ও তার সহযোগী একই এলাকার আজিবর গাজীর পুত্র আমিরুল ইসলাম, বাবু সানার পুত্র আবু তালেব, কাদের গাজীর পুত্র মোস্তাজুল, বিলাত গাজীর পুত্র শাহিনুর ও মানিহার গাজীর পুত্র আলম গাজী অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। বাবু বাড়িতে প্রবেশ করে আমার পিতার নাম ধরে ডাকাডাকি করতে থাকলে আমি বারান্দার দরজা খুলে দিলে শামছুদ্দীন আল মাছুদ (বাবু) জোরপূর্বক ধর্ষণের উদ্দেশ্যে সালোয়ার কামিজ ছিড়ে ফেলে। এসময় আমার ডাক চিৎকারে বোন ইয়াসমিন ছুটে আসলে বাবুর ডাকে আমিরুল ইসলাম ইয়াসমিনকেও ধর্ষনের চেষ্টা করে। তারা আমার বোন জ্যোতি ও ইয়াসমিনকে মারপিট করে। এঘটনায় জ্যোতির ব্রেনে মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হয়। এসময় তারা ৪০হাজার টাকা মূল্যের অপ্পো মোবাইল সেট ও ৬৫ হাজার মূল্যের সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং এবিষয়ে মামলা করলে খুন জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি দেয়।
তিনি আরো বলেন চেয়ারম্যানের স্ত্রী তার সাথে না থাকায় এলাকার বিভিন্ন নারীদের সাথে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। এসব বিষয়ে কয়েকবার এলাকার মানুষের কাছে মারপিটের শিকারও হয়েছে বাবু। তার কারনে এলাকার যুবতী সুন্দরী নারীরা আতংকে থাকে। আমার সাথে এধরনের জঘণ্য কাজের চেষ্টা করায় আমি বাদী হয়ে নারী নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করি। উক্ত মামলা দায়েরে পর চেয়ারম্যান ও সহযোগীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং মামলা তুলে নিতে খুন জখমসহ মিথ্যা মামলায় হয়রানির হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি রাত-দিন বিভিন্ন সন্ত্রাসী মানুষ বাড়িতে পাঠিয়ে মামলা তুলে নিতে শাসিয়ে যাচ্ছে। আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হলো বাধা দেওয়া পরিবারের সকলে মারপিট করে আহত করে। অথচ বিচার চাওয়ায় এখন হত্যার হুমকি অব্যাহত। আমি একজন নির্যাতন অসহায় নারী হিসাবে ওই লম্পটের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।


Top