আজ || বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
শিরোনাম :
  তালায় খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ       তালায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মাঝে হাঁসের বাচ্চা বিতরণ       তালায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে প্রতিযোগিতা       তালায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের উদ্বোধন       তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারের সমর্থনে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত       তালায় অসুস্থ বন্ধুর জন্য ৩০ হাজার টাকা দিলেন বন্ধুরা       তালায় তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলার সমাপনী       সাতক্ষীরায় বৈদ্যুতিক খুটিতে ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত       তালায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ক অবহিতকরণ সভা       তালায় আরএমটিপি প্রকল্পের বাজার সংযোগ সভা অনুষ্ঠিত    
 


তালা এলজিইডি অফিসের হিসাব সহকারী মুস্তাফিজের খুঁটির জোর কোথায় ?

সাতক্ষীরার তালা এলজিইডি অফিসের হিসাব সহকারী মুস্তাফিজের খুঁটির জোর কোথায় ? । ঘুষ ছাড়া ফাইল চলে না দপ্তরে। হিসাব রক্ষকের কাছে কাজ নিয়ে গেলেই গুনতে হয় টাকা। না দিলে তার সাথে করে খারাপ আচারন। এমনকি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করতে দ্বিধাবোধ করেন না তিনি। দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে আছেন মুস্তুাফিজুর রহমান। কিছুদিন অন্যত্র বদলী হলেও অদৃশ্য ক্ষমতা বলে একই স্থানে ফিরে আসেন তালায়।

সেই তথাকথিত ক্ষমতাধর ব্যক্তি মুস্তাফিজুর রহমান। হিসাব সহকারী হিসেবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতায় তালা উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরে কর্মরত আছেন। তালা প্রকৌশল দপ্তরে হিসাব রক্ষক না থাকায় তিনি রামরাজত্ব কয়েম করে চলেছেন। সাতক্ষীরা শহরের অদূরে লাবসায় গড়ে তুলেছেন বিলাশবহুল বাড়ি।

ঘটনার দিন বুধবার (৪আগষ্ট) সকাল ১১ টা। এদিন সকালে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান মেসার্স আকবর কন্সট্রাশনের মালিক আকবর হোসেন পেমেন্ট সার্টিফিকেট নিতে যান মুস্তাফিজুর রহমানের কাছে। এসময় মুস্তাফিজ পেমেন্ট সার্টিফিকেট বাবদ তার কাছে পাঁশ শত টাকা দাবি করেন। ঠিকাদার আকবর টাকা দিতে না চাওয়ায় তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু করেন মুস্তাফিজ। এক পর্যায়ে তাদের ভিতর বাকবিতা-ার সৃষ্টি হয়।

এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আরেক ঠিকাদারী প্রতিষ্টান শেখ ব্রাদার্সের মালিক আসিব হোসেন শোভন। তিনি অভিযোগ করে বলেন,ফাইল প্রতি মুস্তাফিজ পাঁচ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন। অর্থাৎ এক টাকার ফাইলেও দশমিক পাঁচ শতাংশ হিসাব করে টাকা দিতে হয় তাকে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণসহ নানান অজুহাত দেখাতে থাকেন মুস্তাফিজ।

নাম না প্রকাশের শর্তে আরেক জন ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, হিসাব সহকারি মুস্তাফিজ যে উপজেলায় কর্মরত থাকেন, সেখানেই ঠিকাদারদের জিম্মি করে তার রমরমা ঘুষ বাণিজ্যের অভয়-অরণ্য গড়ে তোলে। তার চাহিদা মতো টাকা না দিলে চরম ভূগান্তিতে ফেলেন ঠিকাদারদের।

তিনি বলেন,‘আমার মনে হয় তালায় যেহেতু কোনো হিসাব রক্ষক নেই সংগত কারণেই ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকৌশলী রথীন্দ্র নাথকে ম্যানেজ করে সে এই ঘুষ বাণিজ্যের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।’

অভিযুক্ত হিসাব সহকারি মুস্তাফিজুর রহমান এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে কৌশলে এড়িয়ে যান।

এ বিষয়ে তালা উপজেলা প্রকৌশলী রথিন্দ্র নাথ হালদার বলেন, আমি আপনার নিকট হতে বিষয়টি শুনলাম। যদি সে দূর্ণীতি করে থাকে তাহালে তার বিরুদ্ধে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


Top