আজ || শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম :
  তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারের সমর্থনে বিশাল পথসভা অনুষ্ঠিত       তালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ॥ প্রতীক পেয়েই প্রচার শুরু       তালায় খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ       তালায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মাঝে হাঁসের বাচ্চা বিতরণ       তালায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে প্রতিযোগিতা       তালায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের উদ্বোধন       তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারের সমর্থনে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত       তালায় অসুস্থ বন্ধুর জন্য ৩০ হাজার টাকা দিলেন বন্ধুরা       তালায় তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলার সমাপনী       সাতক্ষীরায় বৈদ্যুতিক খুটিতে ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত    
 


তালায় ধান কাটা শুরু।। ইরি ধানে ব্লাস্টার রোগের হানায় প্রান্তিক কৃষক সর্বশান্ত

সেলিম হায়দার ::
বছরের মাঝা-মাঝি সময় আসলে ইরি ধানের মৌ মৌ গন্ধে কৃষকের মন ভরে যায়। মাঠের ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। তালা উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে কৃষক আগাম ধান কাটা শুরু করেছে। কিন্তু সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে কৃষকের মনে ক্ষেভের আগুন দান বেধেছে। ব্লাস্টার রোগে যেন ধানের পিছু ছাড়ে না। এদিকে ধানের ব্লাস্টার রোগ নিয়ে কৃষি বিভাগের নেই কোন মাথা ব্যথা। ধানের রোগ ঠেকাতে অন্ধকারে হাতড়াচ্ছে সর্বশান্ত কৃষক।


সরজমিনে দেখা যায়, তালা উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে ইরি ধানের একই চিত্র। ব্লাস্টার রোগে শেষ করে দিয়েছে কৃষকের স্বপ্ন। উচ্চ ফলনশীল ব্রি-২৮ জাতের ধান ব্লাস্টার রোগে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ব্রি- ৬৭ ধানের শিষ কাটা রোগ দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৯ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্জন হয়েছে ১৯ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে।


খলিলনগর ইউনিয়নে নলতা গ্রামে শামছুর মোড়ল মঙ্গলবার সকালে তিনি তার জমিতে ধান কাটা শুরু করেছে। তিনি জানান, ২ বিঘা জমিতে ব্রি-২৮ জাতের বোরো চাষ করেছেন। ধান পাকার মুর্হুতে ব্লাস্টার রোগে আক্রমণ করেছে। তাই উপায় না দেখে ধান কাটা শুরু করেছি। তালার কৃষি অফিসের লোকজন আসেও না দেখেও না। এবার হয়তো সর্বশান্ত হয়ে যাবো।
কৃষক জামাল গাজী বলেন, এ বছর আড়াই বিঘা জমিতে ধান লাগাইছি কিন্তু কি যে আছে কপালে। ব্লাস্টার রোগের আক্রমণে ধানগাছ সাদা হয়ে কুঁকড়ে গেছে। বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক স্প্রে করেও কোনো লাভ পাচ্ছি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ধান তো নয়ই, বিচালি পাওয়াও কঠিন হয়ে যাবে। তাতে দোকানে সার কীটনাশকের বকেয়া পরিশোধ করা যাবে না।


তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডা পড়ার কারণেই বোরো ধানে বিশেষ করে ব্রি-২৮ জাতের ধানে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ ঘটছে। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের ব্রি-২৮ জাতের ধান রোপন করতে নিষেধ করি। কিন্তু কৃষকরা ব্রি-২৮ জাতের ধান রোপন করে।


Top