আজ || বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম :
  তালার মাগুরা কাপপিরিচ প্রতীকের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন       ধানদিয়ায় কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলুর গণসংযোগ       খেশরায় কাপ পিরিচে ভোট চেয়ে ঘোষ সনৎ কুমারের গণসংযোগ       খলিলনগরে কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলুর গণসংযোগ       তালার খলিষখালীতে কাপপিরিচ প্রতীকের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন       জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস ভিত্তিক অবহিতকরণ সভা       তালায় কাপ পিরিচ প্রতীকের শোডাউন       অভিন্ন চাকুরীবিধি বাস্তবায়নের জন্য সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতি পালন       তালায় বন্ধ রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের কার্যক্রম ॥  সেবা থেকে বঞ্চিত গ্রাহকরা         তালায় ১১৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে অর্থ বিতরণ    
 


তালায় পাংগাস মাছ চাষে চাষিদের সাফল্য

প্রথমবারের মতো তালা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের চাষিরা মিষ্টি পানিতে কার্প মোটাতাজাকরন ও পাংগাস মাছ চাষ করে দিন দিন লাভের মুখ দেখছেন। অল্প পুঁজিতে অধিক লাভ হওয়ায় পাংগাস মাছ ও কার্প চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন মৎস্য চাষিরা।
জানা যায়,পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় এবং বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন প্রচেষ্টার সমন্বিত কৃষি ইউনিটের মৎস্যখাতের মাধ্যমে এ বছর তালা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ৩৫ একর জমিতে পাংগাস মাছ চাষ এবং ১০০ একর জমিতে কার্প মাছের চাষাবাদ হয়েছে। এতে খরচ কম ও উৎপাদন বেশি হয়। এক বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমি থেকে একজন চাষি লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন। তাদের সফলতা দেখে অনেকেই মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।


তালার দেওয়ানিপাড়া গ্রামের পাংগাস মাছ চাষি মো:হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আগে আমরা গতানুগতিকভাবে সব মাছ একত্রে চাষ করতাম। খাবার ব্যবহারেও তেমন উৎসাহি ছিলাম না। এ বছর উন্নয়ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি এবং পাংগাস মাছ চাষের জন্য কিছু আর্থিক সহযোগিতা পেয়েছি। পাংগাস মাছ চাষ করে এবছর আমরা লাভের মুখ দেখেছি।
তিনি আরো বলেন, পাংগাস মাছের খুব একটা রোগ বালাই হয় না তাই খরচ কম লাভ বেশি হয়। উৎপাদিত মাছ আশপাশের আড়ৎগুলোতে বিক্রি করা হয়। এ বছর এক বিঘা জমিতে পাংগাস মাছ চাষে খরচ হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং মাছ বিক্রি হয়েছে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার কাছাকাছি। এছাড়া ঘেরের ভেড়িতে সবজি চাষ করে পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে অনেক টাকার সবজি বিক্রি করা হয়েছে।
কার্প মাছ চাষি শামিম হোসেন বলেন, ‘বহু বছর ধরে আমরা প্রাচীন পদ্ধতি অনুসরণ করে মাছ চাষ করে আসছিলাম বলে সফলতা পাচ্ছিলাম না। এবার উন্নয়ন প্রচেষ্টার মৎস্য ইউনিটের মাধ্যমে কার্প জাতীয় মাছ মোটাতাজাকরণ করি। চলতি বছর এক বিঘা জমিতে কার্পমাছ মোটাতাজা করতে খরচ হয় দেড় লক্ষাধিক টাকা এবং বিক্রি করা হয় প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। উৎপাদিত মাছ আঠারোমাইল, বিনেরপোতা, কাশিমনগরসহ আশপাশের আড়ৎগুলোতে বিক্রি করা হয়।
উন্নয়ন প্রচেষ্টার মৎস্য কর্মকর্তা এস,এম,নেওয়াজ শরীফ সুমন বলেন, ‘পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় উন্নয়ন প্রচেষ্টার সমন্বিত কৃষি ইউনিটের মৎস্য খাতের মাধ্যমে প্রায় ৩৫ একর জমিতে চাষিদের দিয়ে এ বছর পাংগাস মাছ চাষ এবং প্রায় ১০০ একর জমিতে কার্প মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়। এতে চাষিরা লাভের মুখ দেখেন। তাদের দেখাদেখি অনেকেই চিংড়ি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
তালা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা খাঁ বাবালী বলেন, উন্নয়ন প্রচেষ্টার সহযোগিতার কারণে পূর্বের বছরগুলোর তুলনায় এ বছর অত্র উপজেলাতে প্রায় ২০০ একর জমিতে বেশি মাছ চাষ হয়েছে। এটা তালাবাসীর জন্য একটা দৃষ্টান্ত স্বরুপ।
তিনি বলেন, চলতি বছর তালা উপজেলায় ১০০ হেক্টর আয়তনে ১০৫ টি ঘেরে পাংগাস মাছ চাষ ও ১২,০৪৫ হেক্টর আয়তনের জমিতে ৪৭০০ মৎস্য ঘেরে বিভিন্ন ধরণের সাদামাছের চাষ হয়েছে।


Top