আজ || মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম :
 


কবিতা // জমিদারের_বিচারবুদ্ধি // হাবিবা_সুলতানা

ধীরে ধীরে মনের ঝোঁকে,,
ফেলিয়াছেন চরণ জমিদার পুত্র অতি সন্তপর্ণে।
ভাবিয়াছেন তিনি আকাশ কুসুম বটে।
টুকটুক করিয়া মেঠো পথের বাঁক ছাড়িয়া
উঠিয়াছেন মোড়ে সবে

দেখিলেন সামনের বাগানে পুত্র খোকা
মাথাটা একটুখানি নিচু করিয়া
যায়রে দেখা কাহাদের পদ ওখানে?
ওরে ও যে মোর খেলার সাথিরা যে।
পলকে পলকে দেখিয়া ফেলিল তাহারা মোরে।
কহিল তাহারা ঘাড়খানি ধাক্কা দিয়ে,
খোট তবে চুরির নারকেল ঝুড়ি ভরে।
লাগিল ব্যাথা,পড়িল অশ্রু চোখ ফেঁটে।

ভাগের সময় কহিল,নে তবে নারকেল একখানি।
কহিলেন খোকা কাতর স্বরে,
এ আপন তরে লইব না কোন মতে।
বাবজান কহিয়াছেন ওহে বৎস,
কারো ধন করিবা না চুরি।
করিলেই রক্ষে থাকবে না,নেব হাত কাঁটি।
অধিক নির্যাতন করে,কহিল সে নবীন চোর গুলি,
সে দেখা যাবে,এখন চোরের ভাগি হয়ে নে এগুলি।

ভয়ে ভয়ে কোন মতে পৌঁছিয়েছি বাড়ি সবে।
বাবজান কহিলেন রাগান্বিত স্বরে
দিয়ে আসো তবে আগে,যাহার জিনিস লইয়াছ আত্মসাৎ করে।

ধরিয়া বাঁধিয়া পিতা লইয়া গেলেন মোরে,
বাগান ওয়ালার কাছে।
কহিলেন পিতা তাহাকে,
অপরাধীর বিচার লও তুমি আপন হাতে।

কহিলেন তিনি ক্রান্দনরত হয়ে,
বাবু আপনি ভূস্বামী বটে।
আপনের পুত্রের বিচার লব আপন হাতে?
আপনি মহান বটে।

কহিলেন মোরে বাছা তুমি যদি কুসঙ্গে করো চুরি
তাহলে কী হবে?
তোমারি তরে,দিয়ে দিলাম ঐ গাছটি লিখে।
যত খুশি তত লও আপন হাতে,
সঙ্গো দোষে নাহি যাও খারাপ পথে।

##

শিক্ষার্থী-তালা সরকারি কলেজে,গ্রাম-জাতপুর,তালা-সাতক্ষীরা।


Top