শুরু থেকেই সৌদি আরবকে বেশ ভালোভাবেই চেপে ধরেছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু সেসব প্রচেষ্টা গোলে অনূদিত হচ্ছে কই! উলটো একের পর এক অফসাইডের খাঁড়ায় পড়ে ব্যর্থ হচ্ছে মেসি-লাওতারোদের সকল প্রচেষ্টা। তাও, প্রথমার্ধ শেষে আর্জেন্টিনার তেমন আক্ষেপের সুযোগ নেই, কারণ মেসির পেনাল্টি গোলে এক গোলে এগিয়েই আছে আলবিসেলেস্তিরা।
দুই মিনিটেই সৌদির বিপক্ষে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু মেসির বাঁ পায়ের বাঁকানো শটটা আটকে দেন সৌদি গোলকিপার মোহাম্মদ আল ওয়াইস। ছয় মিনিটে কর্নার ঠেকাতে গিয়ে সৌদির রাইটব্যাক সৌদ আবদুলহামিদ বক্সের মধ্যে ফেলে দেন লিয়ান্দ্রো পারেদেসকে। ভিডিও রেফারির সাহায্যে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। এবার আর মেসিকে গোলহীন রাখতে পারেননি আল ওয়াইস। প্রথম আর্জেন্টাইন হিসেবে চার বিশ্বকাপে গোল পেলেন মেসি।
গোটা প্রথমার্ধে এই আবদুলহামিদকে জ্বালিয়ে মেরেছেন মেসি-তাগলিয়াফিকো ও আলেহান্দ্রো গোমেজ। ২২ মিনিটে পাপু গোমেজের এক পাস থেকে গোল পেলেও অফসাইডের খড়্গে পড়েন মেসি। ২৭ মিনিটে আবারও পাপু গোমেজের এক ডিফেন্সচেরা পাস থেকে লাওতারো মার্তিনেস গোল পেলেও, পরে অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। ৩৫ মিনিটেও একই কাহিনি, এবার লাওতারো আগেই বুঝেহচিলেন, অফসাইডে ছিলেন যে!
দ্বিতীয়ার্ধে কীভাবে অফসাইডে না থাকা যায়, সেটাই হয়তো আর্জেন্টিনার মূল লক্ষ্য হবে!