আজ || রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম :
 


কেশবপুরে প্রবাসির স্ত্রী স্বামীর অর্থ-সম্পদ নিয়ে উধাও থানায় জিডি, স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা

কেশবপুরে প্রবাসি মহিউদ্দিন বাবুর স্ত্রী স্বামীর বাড়ির নগত অর্থ-সম্পদ নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে। ১শ ৬৪ দিনেও তার কোন সন্ধান নেই। থানায় জিডি ও স্ত্রী ও তার ভাইসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেছে প্রবাসির পিতা আলাউদ্দিন সরদার।

আদালতে মামলার বিবরণ সুত্রে জানাগেছে ২০০৬ সালের মার্চ মাসের ৯ তারিখে উপজেলার মাদারডাঙ্গা গ্রামের আলাউদ্দিন সরদারের পুত্র মহীউদ্দিন বাবুর সাথে বেলকাটি গ্রামের মৃত আলী মুনছুরের কন্যা খাদিজা বেগমের শরিয়ত মতে বিয়ে হয়। দীর্ঘ দাপ্তত্য জীবনে অর্নিকা (১৩) ও বায়েজিদ (৫) নামের দুটি সন্তান রয়েছে।

এর কয়েক বছর পর মহীউদ্দীন চাকুরী নিয়ে মালায়েশিয়া যায়। বিদেশ থেকে প্রতিমাসে সে স্ত্রীর ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠাতে থাকে। ঐ টাকা দিয়ে স্ত্রী তার পিতার বাড়িতে সাড়ে ৩ লাখ টাকার জমি ক্রয় করে। এর মধ্যে খাদিজা বেগম একাধিক ব্যাক্তির সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। গত ৫ ফেব্রুয়ারী শ্বশুর বাড়ি থেকে কবিরাজের বাড়িতে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার কথা বলে খাদিজাবেগম নগদ ৬ লাখ টাকা, ৪ ভরি ১২ আনা ওজনের বিভিন্ন প্রকার স্বণালংকার নিয়ে সন্তানদের রেখে চলে যায়।

কোথাও খুঁজে না পেয়ে মহিউদ্দিনের পিতা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন যার নং ২২২ তাং ০৬/০২/২০২১। এরপর তার পিতা তার পুত্রবধু নগদ ৬ লাখ টাকা, ৩ লাখ টাকার অলংকারসহ ১০ লাখ টাকার মালামাল চুরির অভিযোগে আলাউদ্দিন সরদার বৌমা, তার মাতা ও ভায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। যার নং সিআর-৬২ তাং ১৬/০২/২০২১।

বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধের জের ধরে খাদিজা খাতুনের ভাই আসাদুল সরদারের নেতৃত্তে একদল দুর্বৃত্তদের সাথে নিয়ে মহিউদ্দিনের বসতবাড়ীতে হামলা ও ভাংচুর করে। উক্ত ঘটনায় আলউদ্দীন বাদী হয়ে ৪ জনের নামে আরও একটি মামলা করেন যার নং পি-২৭৬/২১ তাং ১৬/০৩/২০২১।

খাদিজা বেগম চলে যাওয়ার ১৬৪ দিন পরেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে খাদিজা বেগম একাধিক মোবাইল নাম্বার দিয়ে শ্বশুর বাড়ি লোকদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও জীবনাশের হুমকি দিচ্ছে। যার কারণে মহিউদ্দিন বাবুর পিতামাতা ও সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছেন।


Top