আজ || রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম :
 


মণিরামপুরে কাঁচা লঙ্কা নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড

যশোরের মণিরামপুরে কাঁচা মরিচ (লঙ্কা) নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড শুরু হয়েছে। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা যে যার ইচ্ছেমতো মরিচের দাম হাঁকাচ্ছেন।


শুক্রবার (২৭ মার্চ) সকালে খেদাপাড়া বাজারে ১৮০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রির খবর পাওয়া গেছে। পরে অবশ্য পুলিশের হস্তক্ষেপে মরিচ ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন দোকানিরা।

আবার কোনো কোনো বাজারে ৮০-১০০ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া খেদাপাড়া বাজারে ২৫-৩০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রির অভিযোগও পাওয়া গেছে। যদিও আলুর পাইকারি কেজি ১৬-১৭ টাকা। তবে রসুন ও পেঁয়াজ স্বাভাবিক দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে জনসমাগম ঠেকাতে প্রশাসন মানুষ ও যানবাহন চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সেই সুযোগে কম আমদানি হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে অসাধু দোকানিরা ইচ্ছেমতো পণ্যের দাম হাঁকাচ্ছেন।

শুক্রবার সকাল থেকে দশটা পর্যন্ত কাঁচাবাজার ও মুদি দোকান খোলা রাখার নির্দেশ রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের।
শুক্রবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে ভিন্ন দামে মরিচ বিক্রি করতে দেখা গেছে দোকানিদের। খেদাপাড়া বাজারে ১৪০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হওয়ার অভিযোগ পুলিশ পেয়েছে।

উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের প্রকাশ মল্লিক সকাল আটটার দিকে বাজার করতে খেদাপাড়ায় যান। এসময় তার কাছে কাঁচা মরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) ৪৫ টাকা ও আলু ২৫ টাকা কেজি চেয়েছেন বিক্রেতারা।

প্রকাশ মল্লিক বলেন, বাজারে দোকান বসেছে কম। সব দোকানে ভিড়। এই সুযোগে ইচ্ছেমতো জিনিসের দাম হাঁকাচ্ছে দোকানদার। দাম বেশি হওয়ায় আমি বাজার না করেই চলে এসেছি।

স্থানীয়রা বলেন, খেদাপাড়া বাজারে মরিচের দাম বেশি নেওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ এসে হারুন নামে এক দোকানদারকে পিটুনি দেয়। পরে ৬০ টাকা করে দাম নির্ধারণ করে দেয় পুলিশ।

এদিকে খবর নিয়ে জানা গেছে, মণিরামপুর পাইকারি কাঁচাবাজারে ৪০ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৫০-৬০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে। রাজগঞ্জ বাজারে পাইকারি ৬০ টাকা ও খুচরা ৮০ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি হয়। আর রোহিতা বাজারে দাম ১০০ টাকা।

মণিরামপুর কাঁচাবাজারের আড়তদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আজ শুক্রবার সকাল থেকে ৪০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বাইরের মরিচ না ঢোকায় ৭০ টাকা কেজিতে পাইকারি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে। গ্রামের বিক্রেতারা সকালে দোকান বসাবেন বলে গতকাল ৭০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনেছেন।

খেদাপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সালাউদ্দিন বলেন, সকালে খেদাপাড়া বাজারে ১২০ বা ১৪০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছিল। অনেকেই সেই দামে মরিচ কিনেছেন। খবর পেয়ে আমি বাজারে যাই। পরে বাজার কমিটিকে নিয়ে কাঁচা মরিচের দাম ৬০ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।


Top