আজ || রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম :
 

আলাউদ্দিনের চেরাগ পাওয়ার মতই রাতারাতি কোটিপতি


ভোলার দৌলতখান উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ৩টি রাজপ্রাসাদের মালিক

খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের টিপনা গ্রামের মৃত নিছার আলী  ওরফে তেলো নিছার শেখের ছেলে মোঃ শাহজাহান আলী শেখ। তার হতদরিদ্র বাবা কিছুদিন আগেও ঘোড়া দিয়ে ঘাইন ঘুরিয়ে তেল বের করে নিজেই হাটে বিক্রি ‌করে সংসারের খরচ যোগাতেন। অথচ তার ছেলে শাহজাহান শেখ ‌আলাউদ্দিনের চেরাগ পাওয়ার মতই রাতারাতি খুলনা শহরে বাড়ি, শহরের একাধিক যায়গায় জমি ক্রয়সহ গ্রামে ৩টি বিলাশবহুল রাজপ্রাসাদ ও মার্কেট বানিয়ে ফেলেছেন। এর অর্থ উৎস্য কোথা থেকে এসেছে? বিষয় টি খতিয়ে দেখলে বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য।

ভোলার দৌলতখান উপজেলার সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বর্তমান চলতি দায়িত্ব মোঃ শাহজাহান আলী শেখ, করোনা পরিস্থিতিতে কর্মস্থলে না থেকে সরকারী আদেশ অমান্য করে,  গ্রামের বাড়িতে এসে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে ভিটে থেকে উচ্ছেদ, আপন ভাই, চাচাত ভাই, ফুফু, ফুফাতো ভাই, ভাবী, চাচা, চাচী, প্রতিবেশীসহ আরো অনেকের সম্পত্তি ফাঁকি দিয়ে নিজের নামে বি,আর,এস খতিয়ানে লিপিবদ্ধ করে নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় জিডি সহ খুলনা আদালতে ১০টি মামলা হয়েছে। সে সরকারী ছুটি না নিয়ে নিয়মিত এসব মামলায় আদালতে হাজিরা দেন।

উল্লেখ্য, এই সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পিরোজপুর মঠবাড়িয়া উপজেলায় চাকরি করার সময়ে চাকরি দেয়ার প্রলোভনসহ বিভিন্ন অজুহাতে ২২টি প্রতিষ্ঠান থেকে স্কুল কলেজের শিক্ষকদের নিকট থেকে উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ উঠলে মঠবাড়িয়া অনলাইন পত্রিকাসহ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সহকারী শিক্ষা অফিসার চলতি মোঃ শাহজাহান আলী শেখের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তার প্রেক্ষিতে এ সহকারী শিক্ষা অফিসারের ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে মঠবাড়িয়া সংসদ সদস্য সালিশ বৈঠক করেন। এ সময় সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহজাহান আলী শেখ  কিছু টাকা ফেরত দেয়। বিষয়টি নিয়ে সংসদ সদস্য শিক্ষা বিভাগের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট  জানালে, তাকে বদলী করে ভোলার দৌলতখান উপজেলা পাঠিয়ে দেয়। বর্তমানে সেখানেই কর্মরত আছেন এই শিক্ষা অফিসার। উনি দৌলতখান উপজেলায় না থেকে খুলনায় বিলাশ বহুল বাসা নিয়ে থাকেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, অল্প দিন চাকরি ‌করেই তিনি প্খুরচুর টাকার মালিক বনে গিয়েছেন।তার বিরুদ্ধে খুলনা শহরে বাড়ি, জমিসহ  গ্রামে ৩টি বিলাশবহুল রাজপ্রাসাদ, মার্কেট, কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রয় করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহজাহান আলীর সাথে মুঠোফোনে ০১৭১৬৪৪০৫৫৫ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন ও অকথ্য ভাষা প্রয়োগ করেন।

জানা গেছে, তার আক্রমনাত্মক আচরন ও অবৈধ অর্থের প্রভাবে তার বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ কথা বলে‌তে সাহস পায়না। এলাকার সচেতন মহল বিষয়টি আশু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জন্য ভোলা জেলা প্রশাসক সহ শিক্ষা বিভাগের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সদয় হস্তক্ষেপ দাবী করেছেন।


Top