কেশবপুরে কেদারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে পাথরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কেদারপুর মোড় থেকে কেদারপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা দুটি চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও ওই রাস্তা দুটির ইটের সোলিং বা পিচ না হওয়ায় একাধিক অসাধু প্রভাবশালী ব্যক্তি রাস্তার জায়গা জবর দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণের পাশাপশি অনেকেই রাস্তা কেটে ফসলের জমি বানিয়ে নিয়েছে। সে কারণে জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে এলাকাবাসি ওই রাস্তার জায়গা দখল মুক্ত করে ইটের সোলিং বা পিচ দ্বারা উন্নয়নের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, কেশবপুর ও ডুমুরিয়া সীমান্তবর্তি এলাকা হওয়ার কারনে স্বাধিনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও এলাকায় যাতায়াতের ব্যবহৃত দুটি রাস্তা ইটের সোলিং করা হয়নি।একাধিকবার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের বিষয়টি অবহিত করা হলেও আজও পর্যন্ত তারা রাস্তা দুটির দিকে তাকানোর প্রয়োজন মনে করেনি।একারনে বর্ষা মৌসুম এলে হাটু কাঁদা রাস্তা দিয়ে তাদের চলাচল করতে হয়।এদিকে কেদারপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পাথরা
অভিমুখি প্রায় ৩ কিঃমিঃ ও কেদারপুর মোড় থেকে কেদারপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তাটি একাধিক ব্যক্তি জবরদখল করে ঘরবাড়ি নির্মান ও অনেকেই সরকারী রাস্তা কেটে ফসলের জমি বানিয়ে নিয়েছে।এক কথায় বলা যায়,রাস্তাটির দিকে কোন ধরনের খেয়াল না থাকার কারনে এ রাস্তাটি বেহালদশা।
এলাকাবাসি আরো জানায়, এলাকার প্রভাবশালী কামরুল বিশ্বাস,হযরত বিশ্বাস,আমজাদ বিশ্বাস, রজব বিশ্বাস, লতিফ বিশ্বাস, লিটন বিশ্বাস ও শাহাজান বিশ্বাসসহ একাধিক ব্যক্তি সরকারী ম্যাপভুক্ত রাস্তায় বসতবাড়ীসহ জবরদখল করে রেখেছে।এলাকাবাসি আরো জানায়, কামরুল বিশ্বাস কেদারপুর মৌজায় ৩৫৫ দাগে প্রায় ১০ শতক খাঁস জমি জোর পূর্বে দখল করে আছে।এদিকে কেদারপুর পথ দিয়ে পাথরা যাওয়ার জন্য একটি ব্রিজ নির্মানও সময়ের দাবি মাত্র।
এলাকাবাসি রাস্তাটিতে উর্ধতন কর্তৃৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন। তা না হলে পরিবর্তিতে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
এব্যাপারে কামরুল বিশ্বাস বলেন, তার জমির মধ্যে কিছু সরকারী খাঁস জমি রয়েছে। সরকার চাইলে উক্ত জায়গা ছেড়ে দিব।