আজ || রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম :
 


বাবা মাংস এনেছিলো কিন্তু খাওয়া হলো না মরিয়ামের!

রিয়াদ হোসেন ||

মায়ের উপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া মরিয়াম (৯) নামের এক শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী গ্রামে। শনিবার সকালে নিজ ঘরের আড়ায় রশ্নি দিয়ে সে আত্মহত্যা করে। মরিয়াম স্থানীয় জুলফিকার গাজীর মেয়ে। লেখাপড়া করতেন বোরহানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে।

স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলে যাওয়ার সময় মরিয়াম আজও মায়ের কাছে বায়না ধরেছিলো দুপুরের টিফিনে মাংস নিয়েই তাই স্কুলে যাবেন বলে। কিন্তু বাড়িতে মাংস না থাকায় মরিয়ামের মা তার পিতাকে বাজার থেকে মাংস কিনে আনতে বলে। কিন্তু বাড়িতে মাংস না থাকা এবং সকালের খাবারে ডিম ভাজি করে দিতে একটু দেরি হওয়ায় মায়ের উপর রাগ, অভিমানে আত্মহত্যা করে সে। এদিকে পিতা জুলফিকার গাজী বাজার থেকে মাংস এনে নিজের মেয়েকে আড়ায় ঝুলতে দেখে। সাথেসাথে তিনি মরিয়ামকে নামিয়ে পাইকগাছা হাসপাতালে নেয়। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়৷ এমন বিষয় নিশ্চিত করেন পাইকগাছা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎক তাহেরা ইয়াসমিন পিংকি।

রাড়ুলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ বলেন, মেয়েটি অনেক ছোট। কেবল চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। ভালো বুঝ জ্ঞান না থাকায় অভিমান করেই মেয়েটি এমন একটি কাজ করেছে। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমি মেয়েটির বাড়িতে গেছিলাম এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছি।

পাইকগাছা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, মায়ের উপর অভিমান করে সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

এদিকে মরিয়ামের এমন অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


Top