আজ || মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম :
 


একটি বয়স্ক ভাতার কার্ডের আকুতি শিবপদ সরকারের

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সদর ইউনিয়নের জাতপুর গ্রামের মৃত রাখাল চন্দ্র সরকারের ছেলে শতবর্ষী শিবপদ সরকার। ৭ ছেলে-মেয়ে তার সংসার। স্ত্রী মারা গেছে ৫/৬ বছর আগেই। বর্তমানে চলাফেরা করতে পারেনা বৃদ্ধ শিবপদ। মাথাও অনেকটা বিগড়ে গেছে। আয়েরও কোন পথ নেই। ছেলেদের পৃথক সংসার। বিধবা দুই বোন তার সাথে থাকে।
এক সময়ে নিজ জমির পাশাপাশি অন্যের জমিতে কাজ করে ও ঝুঁড়িডালা বুনে তা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু বয়সের ভারে অনেক আগেই কর্মশক্তি হারিয়েছেন তিনি। তাই অনেকটা অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটে এই বৃদ্ধের। অথচ এখনও তার কপালে জোটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড। বেঁচে থাকার জন্য তিনি একটি কার্ড চান।
বৃদ্ধ শিবপদ সরকারের ভাঙ্গ ভাঙ্গা কণ্ঠে প্রশ্ন ‘আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতার কার্ড পাবো? বর্তমানে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার জন্য শুধু একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড চাই।’ তবে বেশ কয়েক বছর তার জাতীয় পরিচয়পত্রটি হারিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
বৃদ্ধ শিবপদ সরকারের সংসারে থাকা বিধবা বোন কৌশলী সরকার বলেন, দাদার বয়স একশ’ পার হয়ে গেছে। মাথাও ঠিক নেই। বসে বসে ভুল বকাবকি করে। তার কিছু জমি ছিল তাই দিয়ে সংসার চলতো। জমাজমি ছেলে-মেয়েদের দিয়ে এখন তিনি প্রায় নিঃস্ব। বর্তমানে একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড হলে দাদার সাথে আমরা বিধবা দু’বোনও কোন রকম তিনবেলা খেয়ে পরে বাঁচতে পারতাম।”
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান গোলদার জানান, শিবপদ সরকারের ছেলে বয়স্ক ভাতা পান।
তালা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন বলেন, ঐ বৃদ্ধ হয়তো আবেদন করেন নি। তবে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার আওতায় আছেন।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুমনা শারমিন কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।


Top