আজ || রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম :
 


তালায় ঘরে ঘরে চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে। ঘরে ঘরে এই সংক্রমণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে প্রায় বাড়িতে চোখ ওঠা রোগী অবস্থান নিশ্চিত হচ্ছে। ফার্মেসিগুলোতে ঔষধ (ড্রপ) সংকট দেখা দিয়েছে। চোখ ওঠা এক ধরনের ছোঁয়াচে ভাইরাস বিধায় অতি সহজেই দ্রুততার সাথে এক ব্যক্তি হতে অন্য ব্যক্তি আক্রান্ত হচ্ছে বলে চিকিৎসকরা জানান।
তালায় গত দুই সপ্তাহ যাবৎ ব্যাপক ভিত্তিক চোখ ওঠা বা চোখ লাল হওয়া ভাইরাসজনিত রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। উপ-শহর হতে গ্রাম সর্বত্র চোখ ওঠার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। কেবল মাত্র বয়স্করা নয়, শিশুরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও ভুগছে এ রোগে।
চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত তালা সদরের বেলাল হোসেন, মোজাহিদুল ইসলাম, আফজাল হোসেনসহ কয়েকজন জানান, গত এক সপ্তাহ আক্রান্ত হয়ে তারা ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা নিচ্ছেন। একই সাথে তাদের পরিবারের সদস্যরা এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
তারা আরও বলেন, সাধারণত প্রথমে এক চোখ লাল হয়, পরে দুই চোখই লাল হয়। চোখ দিয়ে পানি পড়ে, চোখ চুলকায় এবং এক ধরনের অস্থিরতায় ভর করে চোখ। কোন কোন সময় চোখের পাতা ফুলে যায়, চোখ ব্যথা হয়। অনেক সময় চোখে ঝাপসা দেখা যায়।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের অভিমত, এই রোগ এমনিতেই ভাল হয়ে যায়। তবে প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ডোজ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা যেতে পারে। চোখ ওঠা ব্যক্তিকে অবশ্যই পৃথক থাকতে হবে যেন তার দ্বারা অন্য কেউ আক্রান্ত হতে না পারে। নিজে নিজে চিকিৎসা না করে চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। সাধারণ একজন হতে অপরজন এ রোগে আক্রান্ত হয়, বিধায় রোগীর ব্যবহৃত বিছানা, চাদর গামছা, তোয়ালে অন্যলোক ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। সাতক্ষীরার প্রতিটি এলাকায় চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজীব সরদার জানান, সারাদেশের চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। ভাইরাসজনিত কারণে চোখ উঠতে পারে তবে ডাক্তার পরামর্শ ছাড়া কোনকিছু গ্রহণ করা ঠিক হবে না।


Top