সুপার সাইক্লোন ঘুর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে উপজেলার দ্বীপ বেষ্টিত পাইকগাছার ৪নং দেলুটি ইউনিয়ন। ওয়াপদার ২২ নং পোল্ডারের বেঁড়িবাধটি ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তির্ণ এলাকা। হাজার হাজার ঘর বাড়ী স্রোতে ভেসে গেছে।
দেলুটির ৯ টা চক নিয়ে গঠিত ২২ নং পোল্ডার। যার ৪ পাশেই রয়েছে নদী বেষ্টিত। চিংড়ি চাষ মুক্ত এলাকাটির জনগন ধান, তরমুজ ও বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে থাকেন। ঐ এলাকার উৎপাদিত ফসল দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানী হয়ে থাকে। বর্তমানে উক্ত ২২ নং পোল্ডারের আওতাভুক্ত চাষিদের তরমুজ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সহ উত্তর বঙ্গে রপ্তানীর কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। তরমুজ বাগান থেকে গাড়ীতে লোড আনলোড করতে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করেন। যেখানে জমির মালিক, বর্গাদার, শ্রমিক, ব্যবসায়ী প্রত্যেকে স্ব স্ব স্থান থেকে উপার্জন করে থাকে তরমুজ মৌসুমে। কিন্তু প্রলয়ংকারী ঘুর্ণঝড় আম্পান সব কিছুই তছনছ করে দিয়েছে। কেড়ে নিয়েছে মুখের হাসি। ফলে এখানকার তরমুজ চাষিদের ঋনের ফাঁদে হাবু ডুবু খেতে হবে। ঘুর্ণিঝড় আম্পান বুধবার রাতে শুরু হওয়ার পর কালীনগর ওয়াপদা ভেঙ্গে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। ঐ রাতেই বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। তলিয়ে যায়, শত শত বসত বাড়ী, ভাসিয়ে নিয়ে যায় কোটি কোটি টাকার তরমুজ, বাঙ্গী, শাক সবজি। এলাকার জনগন স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে ভাঙ্গন মেরামতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুলিয়া সুকায়না, উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সকল প্রকার আশ্বাস প্রদান করেন। কিন্ত বানভাসী এলাকার জনগনের এই মুহুর্তে আশ্রয়ের কোন ব্যবস্থা না থাকায় অনেকে ওয়াপদার রাস্তায় অবস্থান করছেন। আবার অনেকে ঘরের মধ্যে চালা করে বসবাস করতে দেখা গেছে। দ্রুত সরকারী পদক্ষেপ গ্রহন করা না হলে এলাকা বাসীকে গৃহহীন হয়ে অনাহারে থাকতে হবে বলে এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন।