রিয়াদ হোসেনঃ সারা দুনিয়াকে স্তব্ধ করে দিয়েছে মহামারি করোনা।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশেও হানা দিয়েছে ভাইরাসটি। সরকার করোনা প্রতিরোধে হার্ডলাইনে অবস্থান করছে। ঘর বন্ধি সকল পেশার মানুষ।ত্রান আসছে সরকারি,বে-সরকারি ভাবে তবে সেটা বন্টন চলছে দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতির ভিত্তিতে। নিম্ন আয়ের মানুষ ছুটছে ত্রানের খোজে।ঘরে বসে চাপা কান্নায় দিন কাটাচ্ছে মধ্যেবিত্তরা। এমন পরিস্থিতিতে ঘর বন্ধি হয়ে আছে তারা।ঘরের খাবার শেষ হওয়ায় উপক্রম। সরকারি ছুটি ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
সরকার ঘোষিত হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এ শ্রনির মানুষ।এমন পরিস্থিতে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যেবিত্তের বেশি সমস্যা হলেও বিপাকে পড়েছে তালার মধ্যেবিত্তরা। লোকলজ্জায় চাওয়ার অভ্যাস না থাকায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে দেখা গেছে তাদের।মুখ ফুটে বলতে পারছে না তাদের অসুবিধার কথা।
অ
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তালার খেশরায় মৃত কানাই লাল দাশের ছেলে অসীম দাশ।পরের ক্ষেতে কাজ করে চলে তার সংসার।এমন পরিস্থিতিতে সে অসহায়ের মতো জীবন যাপন করছে। করেনার কারনে কোন ক্ষেতে যেতে পারছে না কাজ করতে।সংসার চালাতে হিমশিম খেয়ে পড়তে হচ্ছে তাকে।
তালার শাহাজাতপুর বাজারের ক্ষু্দ্র কাপড় ব্যাবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি।বেশ কিছুদিন ধরে দোকান বন্ধ থাকায় আমাদের সংসার চলছে না বললেই চলে। এমন পর্যায়ে আমরা বলতেও পারছি না,সইতেও পারছি না। কারোর কাছে কিছু চাইতে পারছি না লোকলজ্জার ভয়ে।
এমনভাবে তালায় বেশকিছু মধ্যবিত্তের করুন কাহিনীর কথা শোনা যাচ্ছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছু লেখালেখিও দেখা যাচ্ছে।
শোনা যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ এমন মানুষদের খুজে বের করছে। তারা যেন সঠিক ভাবে এমন মানুষগুলো খুজে বের করে সার্বিক সহযোগিতা করে তার জন্য আকুল আবেদন জানান এসব শ্রেনির মানুষ।