আজ || শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম :
  তালায় আমার সংবাদ পত্রিকা ১যুগে পদার্পণে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত       তালা বাজার বণিক সমিতির সহ-সভাপতি রানাকে সাময়িক বহিষ্কার       বাজারে এলো নতুন প্রযুক্তির হোন্ডা এসপি ১৬০ বানিজ্য সংবাদ ::       তালায় বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের সমাপনী       তালায় মুজিব কিল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন       তালায় আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত       পঞ্চম দিনের মতো খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চলছে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি       তেলবাজির তেলেসমাতি        তালায় যুব রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কমিটি গঠন       সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতি পালন    
 

মণিরামপুরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন


ঝড়-বৃষ্টির কবলে পাকা ধান ঘরে তুলতে কৃষকের চরম ভোগান্তি

চলতি বোরো মৌসুমে মণিরামপুর উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি বলে সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিস ও কৃষকদের কাছ থেকে  পাওয়া তথ্যে মতে এমন ধারনা করা যাচ্ছে।

চলতি বছরে নমুনা শস্য কর্তনে ৩৩ শতাংশের বিঘা প্রতি প্রায় ২৭ মন এই হারে বোরো ধানের ফলন হবে বলে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিনের প্রতিনিয়ত বৃষ্টিতে ধান ঘরে তুলতে যেয়ে কৃষকেরা পড়েছে চরম বিপাকে। তাদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। ধানের বাম্পার ফলন আর বাজার দর ভাল থাকায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানকে ঘিরে কৃষকের চোখে-মুখে আনন্দের হাসি ফুটলেও বৈরী আবহাওয়া বিশেষতঃ প্রতিনিয়ত কাল বৈশাখীর ঝড় ও ভারী বর্ষনে ধান নিয়ে প্রতিটি কৃষক পরিবার পড়েছে মহাবিপাকে। পাকা ধান কর্তন করে মাঠের ক্ষেতে ফেলে রেখে আসার পর পরই টানা কয়েকদিন ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় মাঠের ধান ঘরে তুলতে কৃষকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। কৃষকেরা ধান উৎপাদনের কিছু খরচ পুষিয়ে নেয় গোখাদ্য (বিচালি) বিক্রি করে । কিন্তু এবার যতসব বিপত্তি দেখা দিয়েছে এই বিচালি বানাতে। ধান ক্ষেতে পানি জমে যাওয়ায় বিচালি বানাতে না পেরে অনেক কৃষক ধান রা কল্পে যেনতেন ভাবে ভিজা ধান আটি বেঁধে বাড়িতে এনে ধান ঝেড়ে নিচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে মণিরামপুর উপজেলায় ২৭ হাজার ৯শ’ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। যা ল্যমাত্রার চেয়ে ১শ’ হেক্টর কম হবে। তবে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ধানের ফলন কয়েকগুণ বেশি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি। অতি সম্প্রতি  উপজেলার নাগোরঘোপ মাঠে ক্রপ কাটিং করে  উপজেলা কৃষি অফিস ধানের ফলন পর্যবেন করে অন্যান্য বছরের চেয়ে বোরো ধানের ফলন অনেক বেশি বলে তথ্য রেকর্ড করেছেন। নাগোরঘোপ এসএমই বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের এ মাঠে ২০ বর্গমিটার ক্রপ কাটিং-এ ১৯.২৩০ কেজি ধানের ফলন পাওয়া গেছে। এতে (কাঁচা আদ্রতা ২৮% এবং শুকনো আদ্রতা ১৪%) প্রতি হেক্টরে ৮ মেট্রিক টন (বিঘা প্রতি ২৬.৬৬ মন) ধানের ফলন হয়েছে। হেক্টর প্রতি গড়ে ৬.২ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

উপজেলার হালসা গ্রামের কৃষক হাসান আলী জানান, এবার ধানের ফলন ভালই হয়েছে। তবে পর পর কয়েকদিনের ঝড় বৃষ্টিতে ধান ভিজে যাওয়ায় তা শুকায়ে বিচালি বাধে বাড়ি আনতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। বেশি দাম দিয়েও কৃষেন পাওয়া যাচ্ছে না।উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, এবার কৃষকদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ৫ টি সম্মিলিত হারভেস্টার (ধান কাটা, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দীকারি যন্ত্র) মেশিন দিয়ে ধান কাটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে কৃষকদের ভোগান্তি কিছুটা লাঘোব হবে বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি।


Top