দেশে যে ৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের অবস্থা স্থিতিশীল। তারা একটি হাসপাতালের ‘আইসোলেশন’ ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা।
মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ওই ৩ জন ছাড়া আরও ৮ জন আইসোলেশনে আছেন। ৪ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যে ৩ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন, তাদের মধ্যে দুজনের মধ্যে মৃদু সংক্রমণ ছিল। তবে তাদের আমরা এখনই ছাড়তে পারব না। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী পরপর দুই পরীক্ষাতে নেগেটিভ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তাদের চিকিৎসাধীন থাকতে হবে। তবে বাকি যারা আছেন, তাদের নিয়েও শঙ্কার কিছু নিই।’
ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘দেশের বাইরে থেকে যারা এখন ফিরছেন, তাদের ১৪ দিন বাসায় থাকার জন্য (সেলফ কোয়ারেন্টাইন) বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় না হলে তারা বাসার বাইরে যাবেন না। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলেও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।’
সিনিয়র সিটিজেনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘৬৫ বছরেরও বেশি বয়স যাদের, তাদের জন্য বিশেষ অনুরোধ হলো−অত্যাবশ্যকীয় না হলে তারাও বাসার বাইরে যাবেন না। সভা-সমাবেশ বা ভিড়ের মধ্যে না যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে।’
ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭টিসহ এখন পর্যন্ত মোট ১২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের কেউ আক্রান্ত না।
তিনি জানান, করোনাসংক্রান্ত হট লাইন চালুর পর গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৭৬৮টি কল এসেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত। আবার এমনও কল এসেছে যে মাস্ক কোথায় পাওয়া যাবে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে না, বিদেশ থেকে এসেছে, কী করণীয় ইত্যাদি জানতে।